অনলাইন ডেস্ক|“আমার স্বামীকে চোখের সামনে গুলিতে ঝাঁঝরা করে শহীদ করা হলো। আমি কিছুই করতে পারিনি—শুধু কাঁদতে পেরেছি।
তারপর আমার ছোট্ট ছেলের একটা পা ছিঁড়ে গেলো বিস্ফোরণে। আমি নিজের রক্তমাখা ওড়না ছিঁড়ে তা বেঁধে দিলাম,
চার কিলোমিটার বুকভরা কান্না আর কাঁধভরা যন্ত্রণায় তাকে বহন করেছি।
কিন্তু শেষমেশ সে-ও চলে গেলো—চিরতরে।
আমি তাকে বাঁচাতে পারিনি, শুধু নিজের কাপড়টুকু দিয়ে তার রক্ত থামাতে চেয়েছিলাম।
আমার ওড়না রক্তাক্ত হয়েছিল, কিন্তু কাজে এসেছিল।
আজ সেই রক্তাক্ত ওড়নার দিকে তাকিয়ে ভাবি—
এটাই তো প্রমাণ, যে একটা কাপড়ের টুকরাও আমার সন্তানের জন্য কিছু করতে পেরেছে।
কিন্তু সারা বিশ্বের মুসলিমরা?
তারা তো আমার রক্তাক্ত ওড়নার চেয়েও নিরব,
চেয়েও নিষ্ক্রিয়…
আমার কান্নার চেয়ে তাদের আত্মতৃপ্তি বড়!
আমার সন্তানের রক্তের চেয়ে তাদের উৎসব মুখরতা দামি!
আমার ধ্বংসস্তূপের চেয়ে তাদের বিলাসী জীবনের মসৃণতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
হে মুসলিম দুনিয়া,
তোমাদের হৃদয় কি পাথরেও কঠিন?
তোমরা কি একটিবারও ব্যথা পাও না, আমার বুকফাটা চিৎকারে??
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পোস্ট||সোহাইল আহমেদ