………………………………সোহাইল আহমেদ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ খালেক (পিএসসি) বলেন, একজন সত্যিকারের নিবেদিতপ্রাণ নেতার নাম ভিপি আব্দুল মান্নান। তার সমগ্র জীবন ছিল দলের জন্য নিরন্তর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগে ভরা। তিনি কখনোই নিজের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করেননি—দলের আদর্শ, তৃণমূলের শক্তি এবং কর্মীদের পাশে থাকা ছিল তার মূল পরিচয়। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে উপজেলা পর্যায়ের সংগঠনে তার সক্রিয় ভূমিকা বাঞ্ছারামপুরের ইতিহাসে অম্লান হয়ে থাকবে। তাঁর মতো নেতার মৃত্যু শুধু ব্যক্তি নয়, একটি আদর্শের শূন্যতা। আমরা আজ তাকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মাওলাগঞ্জ বাজার অডিটোরিয়ামে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মান্নানের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মরণসভায় উপজেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ভিপি মজিবুর রহমান ও যুবদল নেতা মীর মোশাররফ হোসেনর সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ইলিয়াস। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দিন বাদল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এম এ খালেক পিএসসি (অব.)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির উপদেষ্টা মেজর (অব.) সাইদুল ইসলাম পিএসসি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম যুক্তরাজ্য শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার নাছের খান অপু, জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্য ভিপি দেওয়ান মো. নাজমুল হুদা।
ভিপি আব্দুল মান্নানের স্মৃতিচারণ করে মেজর (অব.) এসএম সাইদুল ইসলাম পিএসসি বলেন ভিপি আব্দুল মান্নান ছিলেন একজন নিঃস্বার্থ সংগঠক, যিনি রাজনীতিকে দেখেছেন দায়িত্ব হিসেবে, সুবিধা নয়।
দল যখন সংকটে, তিনি ছিলেন সাহসী কণ্ঠস্বর; কর্মীরা যখন দিশেহারা, তিনি ছিলেন পথপ্রদর্শক।
তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা, দৃঢ়তা এবং সংগঠনের প্রতি নিষ্ঠা আজকের প্রজন্মকে প্রেরণা জোগাবে।
তার স্মৃতি আমাদের মাঝে চিরজাগরুক থাকবে—তিনি বেঁচে থাকবেন তার কাজ ও আদর্শের মধ্য দিয়ে।
দেওয়ান মো. নাজমুল হুদা বলেন, “ভিপি মান্নান ছিলেন আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর আদর্শ, নিষ্ঠা ও সাংগঠনিক দক্ষতা আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয়। তিনি ছিলেন কর্মীদের সুশৃঙ্খল নেতৃত্বদানে এক আদর্শ উদাহরণ।”
ব্যারিস্টার নাছের খান অপু বলেন, “ভিপি মান্নান ছিলেন ত্যাগী ও সৎ রাজনীতিক। তার মতো নেতা হারানো শুধু দলে নয়, সমাজেও একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি আজীবন জনগণের পাশে থেকেছেন, তার কর্ম ও আদর্শ আমাদের পথ দেখাবে।”
ম ম ইলিয়াস বলেন ভিপি আব্দুল মান্নান ছিলেন বাঞ্ছারামপুর বিএনপির ভিত্তি। তিনি শুধু একজন সংগঠক ছিলেন না, ছিলেন একজন আদর্শবান সৈনিক, যিনি ছাত্রজীবন থেকেই জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন।
তাঁর রাজনৈতিক সাহস, ত্যাগ এবং সততার প্রতিচ্ছবি এখনকার তরুণদের জন্য অনুকরণীয়।
তাঁর মতো নেতারা চলে গেলেও, রেখে যান সংগ্রামের দিশা। আমরা গর্ব করি, এমন একজন মানুষকে কাছ থেকে জানার সুযোগ হয়েছে। আজকের দিনে তার অভাব গভীরভাবে অনুভব করছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আমিরুল ইসলাম সাজ্জাদ, উপজেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন, শহীদ নয়নের বাবা মো. রহমত উল্লাহ, পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রিপন মিয়া, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব জিসান সরকার, সোনারামপুর নিউলাইফ হসপিটালে ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহিদুল ইসলাম লিটন।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক মো. ওমর ফারুক, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মো. ইমান আলী, উপজেলা শ্রমিকদলের আহ্বায়ক মো. মনিরুল ইসলাম, উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক মো. আব্দুস সালাম, উপজেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক মো. সফিকুল ইসলাম, উপজেলা জাসাসের সাবেক সভাপতি মো. আবুল খায়ের, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. ইব্রাহিম সরকার, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ আজিজ শাওন, বাঞ্ছারামপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মনিরুল হাসান আব্দুল্লা, পৌর জাসাসের আহ্বায়ক আবুল কালাম, পৌর শ্রমিক দলের আহ্বায় মোমেন মিয়া, জেলা ছাত্রদলের সহসাংগঠনিক সম্পাদ জাহিদুল ইসলাম ফাহাদ, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দিন,যুবদল নেতা অলি উল্লাহসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ।